শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণে এড়িয়ে চলুন পাঁচ খাবার
বর্তমান ব্যস্ত যুগে মা-বাবার পাশাপাশি স্কুল, কোচিং, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় বাড়ির ছোট্ট সদস্যটিকেও। কেবল পড়াশোনা নয়, তার পাশাপাশি নানা গুণে পারদর্শী হয়ে উঠতে গিয়ে তাদের হাতেও সময় বড় কম। দিনের একটা বড় অংশ কাটাতে হয় স্কুলে নয়তো কোচিং এ।
আর ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় বাবা-মাও শিশুদের স্কুলে বা কোচিং এ নাস্তায় বাইরের খাবার দিয়ে থাকেন। যার কারণে নানারকম সমস্যার পাশাপাশি ছোটকাল থেকেই স্থূলতার সমস্যা তাড়া করে বেড়াচ্ছে শিশুদের।
শিশুদের স্থূলতার সমস্যা দূর করতে কিছু খাবার ওদের ডায়েট থেকে একেবারে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। জেনে নিন টিফিনে হোক কিংবা বাড়িতে, কোন কোন খাবার শিশুদের দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
ইনস্ট্যান্ট নুডলস
এমন খাবার, বানাতে কম সময় লাগে, অথচ খেতেও সুস্বাদু। ফলে বর্তমানে বেশীরভাগ বাবা-মা শিশুর বায়না মেটাতে এই ধরনের খাবার দেন। কিন্তু টিফিনে বাচ্চাদের এই ধরনের চটজলদি খাবার না দেওয়াই ভাল। নুডলসের প্রধান উপকরণ হল ময়দা, যা বেশি খেলে স্থূলত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ছাড়া, প্যাকেট নুডলসে আজিনোমোটোর মতো উপাদানও থাকে, যা শরীরে পক্ষে একেবারেই ভাল নয়।
ভাজাভুজি খাবার
চিপ্স, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার, রোল— এই সব পেলে শিশুদের আর কী বা চাই। তবে এই খাবার থেকে শিশুকে যতটা দূরে রাখা যায়, ততই ভাল। বাইরের খাবার কিংবা প্যাকেটজাত খাবার দীর্ঘ দিন ভাল রাখার জন্য তাতে বিভিন্ন রাসায়নিক মেশানো থাকে। তাই শিশুর পক্ষে এই খাবার মোটেই ভাল নয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
সসেজ, নাগেট্স অনেকের ফ্রিজেই মজুত থাকে। বাচ্চাকে কী টিফিন দেবেন, তা বুঝতে না পেরে এগুলি ভেজে দিয়ে দেন অনেকেই। কিন্তু শিশুর পেট ভরাতে গিয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। প্রক্রিয়াজাত কোনও খাবারই শিশুর জন্য ভাল নয়। তার চেয়ে চিকেন, ডিম, নানা রকম সবজি, ফলের মতো খাবার বেশি করে দিন। শরীর ভাল থাকবে।
মিষ্টি সিরিয়াল্
কর্নফ্লেক্সের মতো সিরিয়াল সুস্বাদু করে তুলতে এতে মেশানো হয় ‘হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ’৷ কর্নফ্লেক্সের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স উচ্চ পর্যায়ে থাকে৷ তা ছাড়া, এই খাবার শুধু খাওয়া যায় না। এতে মেশাতে হয় দুধ। অনেকে শুকনো ফল বা মরসুমি নানা ফলও এর সঙ্গে মেশান। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আরও বাড়ে, যা শক্তি বাড়ালেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্যাকেটজাত কর্নফ্লেক্সে অতিরিক্ত চিনি থাকে, যা কেবল ক্ষতিকারকই নয়, মেদ বৃদ্ধিতেও বিশেষ কার্যকর।
নরম পানীয়
বর্তমান সময়ের আরেক সমস্যা শিশুরা পানি খেতে চায় না। বরং নানারকম পানীয়তে অভ্যস্ত তারা। সময় পেলেই শিশু চুমুক দিচ্ছে সে সব পানীয়ে। তবে এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। শিশুর স্থূলত্ব বৃদ্ধির জন্য এই অভ্যাস দায়ী। এই সব পানীয় চিনিতে ভরপুর থাকে, তাই সবার আগে প্যাকেটজাত ফলের রস, নরম পানীয়, সোডাযুক্ত পানীয় শিশুদের দেওয়া বন্ধ করে পানি ও নানারকম ফলের রস খাওয়ানো উচিত।