করোনাভাইরাস: মাঠ-পার্ক কি নিরাপদ?
বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেও বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। এই ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সামাজিকভাবে একে অপরের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে শিশুদের ব্যাপারে আমরা আরো বেশি সতর্ক থাকতে চাই।
মাঠ ও পার্ক কি নিরাপদ?: কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থেকে শিশুদের নিরাপদে রাখতে প্রচলিত সব টিপসের কথাই জানাতে হবে তাদেরকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো তাদেরকে কি খেলার মাঠে খেলতে যেতে দেয়া উচিত? করোনাভাইরাস যেহেতু মারাত্মক ছোঁয়াচে ভাইরাস, সেক্ষেত্রে ডাক্তাররা সংক্রমণ ঠেকাতে একে অন্যের কাছ থেকে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে বলছেন। তাই এই অবস্থায় শিশুদের মাঠে গিয়ে ক্রিকেট, ফুটবল বা কোনো ধরনের খেলা থেকে বিরত থাকাই উচিত। বিকেল বেলা শিশুদের জন্য ঘণ্টা খানেক খেলাধুলা করা তাদের দেহ মনের জন্য বেশ উপকারি। কিন্তু বর্তমানে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে মাঠে গিয়ে আপনার সন্তান নিরাপদ থাকবে কি না, তা কেউ বলতে পারবে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন খেলার মাঠের মতো পার্কগুলোতে প্রচুর লোক সমাগম থাকে বলে, এসব খোলা জায়গায় করোনাভাইরাস সহ নানা ধরনের ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া বিস্তারের আশঙ্কা বেশি। তাই খেলার মাঠ বা পার্কে এই সময়ে আপনার সন্তানকে যেতে দেয়া উচিত না।
যেহেতু শিশুরা তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন না, সে কারণে তাদের শরীরে সহজেই জীবাণু প্রবেশ করে। শুধু করোনাভাইরাসই না, পাখি সহ অন্য সব প্রাণীও খোলা মাঠ বা পার্কে মল ত্যাগ করে। আর সেসব মলের মাধ্যমে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। তাই শিশুর শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে দিনের বেলা ঘরের বাইরে কিছুক্ষণ হেঁটে আসা বা দৌড়ে আসার সুযোগ করে দিন।
শিশুদের কি করোনা ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে?: এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে প্রায় সব দেশেই তুলনামূলকভাবে কম শিশুকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। তবে তার মানে এই নয় যে, শিশুরা এই ভাইরাসের কম ঝুঁকিতে আছে। যেকোনো ভাবেই যেকোনো শিশু করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। তাই আপনার শিশুকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব আপনারই।
আপনার যা করণীয়: করোনাভাইরাসের মতো মারাত্মক ভাইরাস থেকে নিজে বাঁচতে ও আপনার শিশু সহ পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে সবচেয়ে বড় উপায় হলো বাসা থেকে না বের হওয়া। যতোটা সম্ভব পরিবার সহ ঘরে থাকা উচিত আপনার। তার মানে এই না যে পৃথিবী থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হবেন আপনি, বরং এ সময়টায় বিনোদনের নতুন উপায় বের করতে পারেন। এ সময়টায় সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন বোর্ড গেম খেলা, ইনডোরে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা, বই পড়া, মুভি দেখার মধ্য দিয়ে সময়টাকে উপভোগ করতে পারেন।