শিশুদের জন্য ‘বেবিটিউব’, আছে যেসব সুবিধা
তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় প্রায় অধিকাংশ শিশুই মোবাইল এবং ইন্টারনেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় শিশু-কিশোররা নানাভাবে ঝুঁকিতে পড়ছে। বিশেষ করে মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্টুনসহ অনিরাপদ নানান ভিডিও শিশুদের ঝুঁকিতে ফেলছে। অভিভাবকরা চাইলেও সারাক্ষণ বসে থেকে পাহারা দেওয়াও সম্ভব নয়। তাই এমন কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন যা শিশু-কিশোরদের হাতে নিশ্চিন্তে মোবাইল এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলো দেওয়া যায়। এমনটি একটি নিরাপদ ইন্টারনেট, সুস্থ বিনোদন এবং শিক্ষণীয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ‘বেবিটিউব’ নিয়ে এলো বাংলাদেশের একদল তরুণ।
অ্যাপটিতে যেকোনো বয়সের যে কেউ ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। তবে, শিশুদের বিকাশে বাধাগ্রস্ত হতে পারে এমন কোনো ভিডিও আপ করা যাবে না। শুধুমাত্র শিশু-কিশোরভিত্তিক কনটেন্ট আপ করা যাবে। যেসব ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড করা যাবে- খেলাধুলা, কার্টুন, পড়াশোনা, মুভি, নাটক, গেম, গান, গজল, ট্রাভেল, ব্লগ, টেকনোলজি।
এ ছাড়া বেবিটিউবে সহজ শর্তে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য মনিটাইজেশন সিস্টেম রয়েছে। শুধু তাই নয়, যারা শিশুতোষ কনটেন্ট আপলোড করবে, তারা বেবিটিউব থেকে মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ পাবে।
২০২০ সালের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠাতা শামীম আশরাফ, সহপ্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদ, রবিউল ইসলাম রবি, মাইনুল ইসলাম, আবির আহমেদ, ওয়াশিমুল রাফিন, সজিবুর রহমান পান্থ ও সময় শিশু উপযোগী অ্যাপভিত্তিক ওয়েবসাইট বেবিটিউব শুরু করে।
বেবিটিউবের ফাউন্ডার শামীম আশরাফ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। শিশু-কিশোররাও ইন্টারনেটের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিশু-কিশোর ইন্টারনেটে ভিডিও কনটেন্ট দেখে। যেখানে অনেক বাজে কনটেন্ট ও অ্যাডাল্ট বিজ্ঞাপন আসে, যা শিশু-কিশোরদের জন্য উপযোগী নয়। এসব বিষয়ে আমরা অনেক শিশু-কিশোর ও অভিভাবককে নিয়ে গবেষণা করেছি। সেখান থেকে জানতে পারি শিশুদের চাহিদা। তাই শিশু উপযোগী অ্যাপভিত্তিক ওয়েবসাইট বেবিটিউব শুরু করি।
বেবিটিউবের চেয়ারম্যান সাইদুল করিম মিন্টু স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশেও ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারের মতো জনপ্রিয় অ্যাপ প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। আধুনিক প্রযুক্তি ও তরুণদের কাজ করার দারুণ সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।