শিশুর মাঝে গড়ে তুলুন শখের কাজগুলো

শিশুরা কাদামাটির মত, ছোটবেলা থেকে গড়ে ওঠা সুন্দর অভ্যাসগুলো তাদের বেড়ে ওঠাকে করে আরো সুন্দর এবং মসৃণ। ছোটবেলা থেকে যেসব শিশু তাদের শখের কাজগুলো করতে করতে বেড়ে ওঠে তাদের ব্যক্তিত্ব হয় সুন্দর এবং তারা সৃজনশীল হিসেবে গড়ে ওঠে।

শিশুবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয় যে, শিশুর জন্য এমন কিছু কাজ বেছে দেওয়া উচিত যা তাদের মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। তবে আগে তার পছন্দ সম্পর্কে জানুন এরপর তার জন্য শখ বেছে দিন। কিছু কাজ হতে পারে:

শিক্ষামূলক খেলা: শারীরিক কসরতের পাশাপাশি মস্তিষ্কের ব্যায়ামও জরুরি। আর মাথার ব্যায়ামের জন্য বেশ উপযোগী হল পাজেলস মেলানো। এছাড়া আরও অনেক খেলা আছে যাতে মাথা খাটাতে হয়। শব্দ খেলা, সুডোকু ইত্যাদির জন্য অনেক মনোযোগ প্রয়োজন। আর এসব খেলা থেকে অনেক কিছু জানা যায়। তাছাড়া সহজ ধরনের খেলায় শিশুর আগ্রহ গড়ে উঠলে তাকে দাবা খেলা শেখানো যেতে পারে। এতে তার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং মাথারও ব্যায়াম হবে।

নতুন ভাষা শেখান: আমাদের দেশে কাজেকর্মের জন্য ইংরেজি ভাষা শেখা প্রয়োজন। তবে অন্যান্য বিদেশি ভাষা শেখা জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে সাহায্য করে। ১০ বছর বয়সের পর থেকে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরেও শিশুকে ভীনদেশি ভাষা শেখানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে এই নতুন নিয়মে তার উপর যেন অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।

মুদ্রা বা ডাক টিকিট সংগ্রহ: শখ হিসেবে এটি বেশ পুরানো। তবে ‘ডিজিটাল’ যুগে এই শখ তেমন আর দেখা যায় না। তাই সন্তানকে চাইলে এই অভ্যাসের সঙ্গে পরিচিত করে তুলুন। পুরানো মুদ্রা সংগ্রহ, দেশ এবং বিদেশের ডাকটিকিট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সে ওই মুদ্রা ও টিকিট সম্পর্কে জানতে পারবে। ফলে তার জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত হবে। আর জ্ঞানার্জনের ইচ্ছাও বাড়বে।

খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলুন: এই যুগে শিশুদের মধ্যে প্রযুক্তির আসক্তি বেশি। তাই অনেক ক্ষেত্রেই তাদের বাইরে খেলাধুলার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই, সুযোগও তেমন নেই। তবে সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য ব্যায়াম ও খেলাধুলা বেশ জরুরি। তাই সন্তানকে ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস ইত্যাদি খেলায় আগ্রহী করে তুলুন। স্কুল বা অন্যান্য মাধ্যমে তাকে খেলাধুলা শেখার সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে।

কবিতা আবৃত্তি শেখান: কবিতা আবৃত্তি শিশুদের উচ্চারণকে সুন্দর করতে সহায়তা করে, তার কল্পনার জগতকে আরো বেশি প্রসারিত করে। শিশুকে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন শিশুতোষ কবিতা আবৃত্তিতে অভ্যস্ত করে তুলুন। এতে তার পরিধি বাড়বে।

ছবি আঁকা শেখান: শিশুকে ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকাতে অভ্যস্ত করুন। ছবি আঁকা শিশুর মধ্যে সৃজনশীলতা বাড়ায়, ছবি আঁকার ফলে শিশুর কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Warning: Undefined array key 0 in /home/freevec2/bdchild24.com/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924