রাজধানী জুড়ে উৎসবের আবহ
মহান বিজয় বিদসকে কেন্দ্র করে রাজধানী জুড়েই যেন প্রাণের উচ্ছ্বাস। ভোর থেকেই লাল-সবুজের বর্ণিল পোশাকে তারুণ্যের দেখা মেলে রাজপথে। সকালে স্মৃতিসৌধে দেশের সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদনের মধ্য দিয়ে দিন শুরু হলেও রাত অবধি বিজয়ের রেশ থেকে যায়। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও ছিলো শিশু-কিশোরদের উপচেপড়া ভিড়।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে শাহবাগ, রমনা পার্ক ও শিল্পকলা অ্যাকাডেমি ঘুরে দেখা যায়, জনসমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে স্থানগুলো। এসব জায়গায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। বন্ধুবান্ধবসহ এসেছেন কেউ কেউ।
সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে ছোট্ট শিশুদের। বাবা-মায়ের সঙ্গে রমনা পার্কে ঘুরতে এসেছে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইশা। সে জানায়, ঘুরতে এসে আমার খুবই ভালো লাগছে। এখানে এসে নানারকম খেলাধুলাও করেছি।
মাইশার পাশেই খেলছিল পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া রুবায়েত। আজকে কী দিবস? এটা জিজ্ঞেস করতে সে জানায়, আজ বিজয় দিবস। এই দিনে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এটা আমাদের আনন্দের দিন।
বেশ কয়েকজন বন্ধুসহ শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে ঘুরতে এসেছেন কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ইয়ামিন। তিনি বলেন, আজ আমাদের একটা গৌরবের দিন, আনন্দেরও দিন। তাই দিনটি উদযাপনে বন্ধুবান্ধবসহ ঘুরতে এলাম। তবে ঢাকায় তো ঘোরাঘুরির স্থান খুবই কম। এগুলো আরও বাড়ানো উচিত বলে আমরা মনে করি।
বিজয়ের আনন্দ-উৎসব থেকে বাদ যায়নি রাজধানীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিলও। হাতিরঝিলের পুরো এলাকাজুড়েই মানুষ আর মানুষ, সবার মাঝেই বিরাজ করছে বিজয়ের আনন্দ।
বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বিনোদনপ্রেমী মানুষের ঢল নেমেছে হাতিরঝিলে। কেউ এসেছেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে, কেউবা বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জনকে নিয়ে। কারও কারও পরনে ছিল লাল সবুজের শাড়ি, কেউবা শরীরে জড়িয়েছেন পতাকার আদলের পাঞ্জাবি। ছোট থেকে মধ্যে বয়সী অনেকেই মাথায় পরেছেন পতাকার ব্যান্ড, গালে রাঙিয়ে নিয়েছেন বিজয়ের বার্তা।
অন্যদিকে শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ পরিবারের ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ভিড় জমিয়েছেন চিড়িয়াখানায়। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ চিড়িয়াখানা ছিল দর্শনার্থীতে পূর্ণ।
চিড়িয়াখানা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন।