আজ বিশ্ব শিশু ক্যানসার দিবস
দেশে দ্রুত বাড়ছে শিশু ক্যানসার রোগীর সংখ্যা। প্রতি বছর নতুন করে ১৪ হাজার শিশু ক্যানসার রোগী শনাক্ত হয়। তবে বেশির ভাগ শিশুর ক্যানসার নিরাময়যোগ্য। শুরুতে শনাক্ত করা ও উন্নত চিকিৎসা হলে ৭০ শতাংশ রোগী ভালো হয়। কিন্তু দেশে পাঁচটি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে মাত্র ২০ শতাংশ রোগী চিকিৎসার সুযোগ পায়। এর মধ্যে অনেকে চিকিৎসা শেষ করতে পারে না ৪০ শতাংশ। এমন বাস্তবতার মধ্যে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে বিশ্ব শিশু ক্যানসার দিবস।
শিশু রক্ত রোগ ও ক্যানসার সোসাইটি বাংলাদেশ থেকে জানা যায়, বর্তমানে দেশে ৩ থেকে ৪ লাখ শিশু ক্যানসার রোগী আছে। তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশ শিশু ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত। চিকিৎসাব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে শিশু রক্ত রোগ ও ক্যানসার সোসাইটি বাংলাদেশের মহাসচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের (প্রশাসন) অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার এ কে এম আমিরুল মোরশেদ খসরু ইত্তেফাককে বলেন, উন্নত দেশে ৯০ শতাংশ শিশু ব্লাড ক্যানসার থেকে ভালো হলেও আমরা এখনো ঐ অবস্থায় আসতে পারিনি। ৯০-এর দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। ২০১০ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ক্যানসার বিভাগ চালু হয়। বর্তমানে এই দুই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট, সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিশেষায়িত শিশু ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৩০টি শয্যা আছে শিশু ক্যানসার রোগীদের জন্য। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যানসারের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি বছর ২ লাখ শিশু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। আর এর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেই আক্রান্ত হয় শতকরা ৮০ ভাগ। যাদের বেশির ভাগেরই বসবাস নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে। ক্যানসারের হাত থেকে শিশুদের বাঁচাতে বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ কর্মসূচির আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুদের ক্যানসার এসব এলাকায় ৬০ শতাংশ নিরাময় হবে বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু রক্ত রোগ ও ক্যানসার বিভাগের অধ্যাপক আফিকুল ইসলাম।