শিশুর স্মার্টফোন আসক্তি কমানোর ৪ উপায়

করোনা মহামারির শুরু থেকেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে শিশুরা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার ফুরসত নেই তাদের। একঘেয়েমি জীবন কাটাচ্ছে শিশুরা। এর ফলে অধিকাংশ শিশু-কিশোরই আসক্ত হয়ে পড়েছে স্মার্টফোন তথা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের প্রতি।

এ ছাড়াও নিয়মিত জুম ক্লাস থেকে শুরু করে পড়ালেখা সবই এখন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে শিশুরা আবদ্ধ হয়ে পড়েছে কম্পিউটার, ট্যাব, স্মার্টফোনের স্ক্রিনে। শুধু প্রয়োজনের হেতুই নয় বরং গেম খেলা, কার্টুন দেখা এমনটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেড়েছে তাদের আনাগোনা।

অনিদ্রা, খিটখিটে মেজাজ, জেদ, মানসিক বিকৃতি, খাবারে অনীহা, স্থূলতা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্তও হতে পারে এর ফলে। তবে শিশুর স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে পারেন একমাত্র তার অভিভাবকেরাই। এজন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে তাদেরকে এই আসক্তি থেকে মুক্তি দিতে হবে। জেনে নিন শিশুর স্মার্টফোন আসক্তি কীভাবে দূর করবেন-

পাজল গেম শিমুর মানসিক বিকাশ উন্নত করে। পাজলের অংশ মিলিয়ে পৃথিবীর ম্যাপ হলো বা কোনো ছবি তৈরি হলো। সেরকম খেলায় নিয়োজিত করুন শিশুকে। একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে এ কাজ করার জন্য। খেলার ছলে শিশুর মানসিক বিকাশও হবে এর ফলে।

নির্দিষ্ট সময়ের পাজল মিলিয়ে ফেলতে পারলে শিশুকে একটি ছোট্ট উপহারও দিতে পারেন। এতে তার মধ্যে খেলার ইচ্ছেও জন্মাবে। মনে রাখবেন, বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নিবেন না। বুঝিয়ে যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে।

অডিও বুক

অনলাইন ক্লাস করার পর শিশুর আবার বই পড়তে নাও ভালো লাগতে পারে। সেজন্য শিশুকে অডিও বুক শোনাতে পারেন। অডিও বুকে যে রকম নাটকীয় ভাবে গল্প পাঠ করা হবে, তা শিশুরা শুনেই মনে রাখতে পারবে।

ছবি আঁকা

রং নিয়ে খেলা করলে শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটে। এর ফলে শিশুরা নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টা করে। আপনার শিশুকে রং পেন্সিল কিনে দিন। ছবি আকার জন্য খাতা দিন। মনের মতো আঁকতে বলুন। রং নিয়ে খেলা করলে শিশুর মন ভালো হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে ছবি আঁকার দক্ষতাও বাড়বে।

বিকল্প দিন

আপনার সন্তানের যে কাজে মনোযোগ তাকে সেটি করতে দিন। নাচ, গান বা খেলাধুলা যা সে করতে চায়, তা করার জন্য উৎসাহ দিন। তাহলে স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি কমতে শুরু করবে। যে সময়টি যে ফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে কাটায়; এর বিকল্প কিছু করানোর চেষ্টা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Warning: Undefined array key 0 in /home/freevec2/bdchild24.com/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924