শিশু চুরি করে পালানোর সময় যুবক গ্রেপ্তার

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনকুটিয়া বউ বাজার এলাকা থেকে মো. সাব্বির (২১) নামের এক শিশু চোর চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর ক্যাম্প। এ সময় তার কাছ থেকে নুর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের এক বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির শরীয়তপুর জেলার পালং থানার চরসারেঙ্গা গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নবীনগর খালপাড় এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া নুর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর বাবার নাম মো. সজিব ও মায়ের নাম সুমাইয়া আক্তার বৃষ্টি। তারা সপরিবারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া বউ বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। সজিব একটি মামলায় জেলহাজতে রয়েছেন আর বৃষ্টি কাজ করেন। আব্দুল্লাহ বাড়ির সামনে খেলা করার সময় তাকে অপরিচিত এক যুবক কোলে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে র‌্যাবকে জানায়। র‌্যাব সদস্যরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে আব্দুল্লাহসহ ওই যুবককে আটক করে নিয়ে যায়।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে র‌্যার-১০ সিপিসি-২ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, সাব্বির নামের এক যুবক শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চুনকুটিয়া বউ বাজার এলাকা থেকে একটি শিশু বাচ্চা চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত ওই এলাকায় আমাদের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সেখান থেকে একটি শিশুসহ এক যুবককে হেটে যাওয়ার সময় সন্দেহ হয়। পরে তাদের গতি রোধ করে শিশুর সঙ্গে পরিচয় জানতে চাইলে সাব্বির আমতা নামতা শুরু করে। তখন শিশুসহ তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব সূত্র আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসাবাড়ি থেকে শিশু বাচ্চা চুরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নিঃসন্তান এবং ধন সম্পদশালী ব্যক্তিদের নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Warning: Undefined array key 0 in /home/freevec2/bdchild24.com/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924