সীমিত পরিসরে চালু ঈশ্বরদী ইপিজেড
সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেড সীমিত পরিসরে রোববার (২৬ এপ্রিল) থেকে চালু হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থাকলেও কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেই শ্রমিকরা কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কর্মরত শ্রমিকেরা।
ঈশ্বরদী ইপিজেডের জিএম মো. আব্দুল আলীম জানান, এই ইপিজেডের মধ্যে ছোটবড় ১৯টি কারখানা রয়েছে। সীমিত পরিসরে ৩টি গার্মেন্টস কারখানাসহ ৬টি কারখানা আজ চালু হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এবা গ্রুপের ভিন্টেল ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড, রেনেসাঁ গার্মেন্টস, জিনজিয়া গার্মেন্টস অ্যান্ড এক্সেসরিজ, উনডো টেক্সটাইল, স্ট্রেনা হেয়ার প্রোডাক্ট এবং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট।
ভিন্টেল ডেনিম স্টুডিও লিমিটেডে কর্মরত শ্রমিক হাফিজা খাতুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পায়ের জুতা স্যান্ডেল ব্লিচিং পানিতে ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে কারখানায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। এরপর সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে।
একই কারখানার অডিট কর্মকর্তা ফজিলা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ইপিজেড কর্তৃপক্ষ আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।
এ ব্যাপারে বেপজা জিএম পিআর নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সীমিত পরিসরে পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেড আজ থেকে চালু হয়েছে। প্রথমে ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু হলেও অবস্থার উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশ তারপর ১০০ শতাংশ শ্রমিক এখানে কাজ করবে। এই ইপিজেডে এ অঞ্চলের স্থানীয় শ্রমিকেরাই কাজ করায় বাইরের জেলা থেকে কোনও শ্রমিককে আসতে হচ্ছে না। এতে কিছুটা ঝুঁকি কম রয়েছে। এছাড়া শ্রমিকরা সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বে থেকে যাতে কাজ করে সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।