শিশু নাহিদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন রংপুরের পুলিশ সুপার
অর্থের অভাবে শিশু নাহিদের (৩) চিকিৎসা দিনমজুর পিতা করতে না পারায় চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন রংপুরের পুলিশ সুপার। শিশু নাহিদের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি এলাকায়।
নাহিদের বাবা দিনমজুর নুর ইসলামকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, নাহিদের দ্রুত চিকিৎসা করাতে না পারলে তার হাত কেটে ফেলতে হবে। চিকিৎসকের কথায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার নাহিদের বাবা নুর ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন।
নাহিদের বাবা পুলিশ সুপাকে জানান এ অবস্থায় শিশুটির হাত কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন চিকিৎসক। অসহায় দিনমজুর বাবার এমন দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন পুলিশ সুপার। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি সোমবার রাতে ওই শিশুসহ তার পরিবারের ৪ সদস্যকে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। অস্ত্রোপচার ও ওষুধসহ চিকিৎসার সব খরচ বহন করবেন তিনি।
নুর ইসলামের দ্বিতীয় সন্তান নাহিদ ৩ মে পাশের বাড়ির উঠানে থাকা ধান ভাঙা মেশিনে হাত ঢুকিয়ে দেয়। এতে তার ডান হাতের কবজি থেকে আঙুলের মাঝের অংশ উঠে আসে। তর্জনীর শিরা ছিড়ে যাওয়াসহ কনুই থেকে হাড়ের বিভিন্ন অংশ ফেটে যায়। তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
নুর ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসক জানিয়েছেন-নাহিদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। দিনমজুরি করে সংসার চালাতেই হিমশিম অবস্থা। এরই মধ্যে অনেক ঋণ করে ফেলেছি। সন্তানের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পেরে চিন্তিত ছিলাম। এসপি স্যার চিকিৎসার সব খরচ বহন করবেন। তিনি আমার পাশে না দাঁড়ালে আমার বাচ্চার হাত কেটেই ফেলতে হতো।’
পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘দিনমজুর নুর ইসলাম অর্থের অভাবে সন্তানের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় নাহিদকে সুস্থ করে তার বাবার মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই আমার সার্থকতা।’