শিশুর বিনোদন
স্কুল বন্ধ, পড়াশোনার চাপ নেই বলে সব সময় শিশুকে টিভি দেখতে দেবেন না; বরং শিশুকে টিভি দেখারও একটি সময় নির্ধারণ করে দিন। আপনার শিশু টেলিভিশনে যেসব কার্টুন ও কমিক সিরিজ দেখতে পছন্দ করে সেই শিডিউল মতো রুটিন সাজিয়ে দিন।
এখন বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় টেলিভিশনে জনপ্রিয় অনেক শিশুতোষ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। গান, গল্প, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি থেকে শুরু করে ধাঁধা, বির্তক ও শিক্ষামূলক নানা অনুষ্ঠান থাকে। আপনার শিশুর রুচি ও বয়স বিবেচনায় এসব অনুষ্ঠান থেকে কয়েকটি দেখার সুযোগ দিন। নির্ধারিত সময়ের বাইরেও যদি দেখতে চায় তাতে সায় দিন; কিন্তু সব সময় নয়।
এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পর সমস্যা তৈরি হতে পারে।
বড়দের উপযোগী অনুষ্ঠান ছোটদের সঙ্গে নিয়ে দেখবেন না। এ জন্য শিশুদের আলাদাভাবে সময় দিন। এখন যেহেতু একসঙ্গে সবার ঘরে থাকা হয়, সে জন্য সপ্তাহে এক দিন সবাই মিলে চলচ্চিত্র দেখার আয়োজন করুন।
প্রতিদিনের মতো নয়, রীতিমতো আয়োজন করে। চলচ্চিত্রের মধ্য বিরতিতে হালকা খাবারের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। অবশ্যই ছবিটি শিশুদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক ও শিক্ষণীয় হওয়া উচিত। এতেও অনেক কিছু বুঝতে এবং শিখতে পারে শিশুরা। বিনোদনের জন্য সারা দিন শিশু যেন টিভিমুখী না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
করোনার এই সময়ে ঘুড়ি ওড়ানোর চল ফিরেছে। বিকেলে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে কিছু সময় ঘুড়ি উড়িয়ে কাটান। এতেও শিশুরা উত্ফুল্ল থাকবে। মনে রাখতে হবে, শিশুর বিনোদনের দুটি দিক মানসিক ও শারীরিক বিকাশ যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়। টেলিভিশন দেখে শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটে আর বাইরের খেলাধুলায় শারীরিক বিকাশ ঘটে। বাইরের খেলা যেহেতু বন্ধ তাই ইনডোর গেমে শিশুকে বেশি বেশি সঙ্গ দিন। মনে রাখবেন মোবাইল, ভিডিও ও কম্পিউটার গেমের প্রতি শিশুদের কোনোভাবেই আসক্ত হতে দেওয়া যাবে না। এসব গেম খেলার সময় শিশুরা একা হয়ে যায়। একা খেলা যায় এমন গেম শিশুদের জন্য ক্ষতিকর।