শিশুদের রঙিন পোশাক
যেকোনো উৎসবে শিশুদের আগ্রহ আর আনন্দটাই বেশি থাকে। পহেলা বৈশাখও ব্যতিক্রম নয়। আর তাই ডিজাইনাররাও বড়দের মতো করে শিশুদের পোশাকও অনেক গুরুত্ব দিয়ে নকশা করছেন। এবারের পহেলা বৈশাখ ঘিরে ফ্যাশন হাউসগুলো শিশুদের জন্য নিয়ে এসেছে নতুন ধরনের শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট-টপস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, ধুতি, শার্ট ও টি-শার্ট।
লাল-হলুদ রঙে বৈশাখের বিভিন্ন দেশীয় মোটিফ নিয়ে শিশুদের পোশাক ডিজাইন করেছে ফ্যাশন হাউস বিশ^ রঙ। বিশ^ রঙের ডিজাইনার ও স্বত্বাধিকারী বিপ্লব সাহা জানালেন, ‘প্রতি বছরই বৈশাখ ঘিরে শিশুদের জন্য আলাদা পোশাকের আয়োজন থাকে। শিশুদের জন্য আলাদা করে পোশাকের ডিজাইন করা হয়। আবার অনেকে একই ডিজাইনে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও পোশাক তৈরি করে থাকেন। এবার থাকছে মা-বাবার পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে নকশা করা শিশুদের পোশাকও। পোশাক নকশায় প্রাধান্য পেয়েছে লোকজ মোটিফ, ফুল, পাখি, মাছ, গাছসহ বিভিন্ন দেশীয় মোটিফ। বৈশাখী পোশাকে লাল-সাদা ছাড়াও হলুদ, সবুজসহ বিভিন্ন উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হয়েছে। রয়েছে তৈরি করা ধুতি-পায়জামাও।
কে-ক্রাফটের বাচ্চাদের পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে উজ্জ্বল রং ও ফ্লোরাল মোটিফ। গরমের কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক সুতি কাপড়, সিল্ক ও শিফন ফেব্রিকস ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক অভিভাবক শিশুদের বড়দের মতো করে সাজাতে পছন্দ করেন, যেমন সালোয়ার-কামিজ ও শাড়িতে। সে কথা মাথায় রেখে ছোট শিশুদের জন্য সেলাই করা শাড়ি আনা হয়েছে, যা অনেকটা স্কার্টের মতো, সঙ্গে থাকে রেডিমেড ব্লাউজও। আরও আছে লেহেঙ্গা, স্কার্ট ও ঘাগরা। আর ছেলে শিশুদের জন্য আছে পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও শার্ট। নবজাতকদের জন্য পাঞ্জাবি-পায়জামার সেট । নিত্য উপহারের স্বত্বাধিকারী বাহার রহমান জানালেন, ‘শিশুদের বৈশাখের পোশাক মূলত টি-শার্ট ও ফতুয়া। লোকজ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে এসব টি-শার্টের ডিজাইন করা হয়, যাতে পোশাকে বাঙালিয়ানা ফুটে ওঠে। এ সংক্রান্ত শিশুতোষ বিভিন্ন কবিতা ও গানকে পোশাকের নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে। আড়ংয়ের শিশুদের বৈশাখ সংগ্রহ বেশ বর্ণিল। ছেলে শিশু, মেয়ে শিশু ও নবজাতকের জন্য নিয়ে এসেছে নানা ঝালর শাড়ি, নানা কাটের ফ্রক, স্কার্ট ও ঘাগড়া। আর ছেলে শিশুদের জন্য আছে পাঞ্জাবি, হাফ শার্ট ও ফতুয়া। নবজাতকের জন্য আছে নানা ধরনের নিমার সেট। পোশাকে লোকজ ফোক মোটিফের পাশাপাশি ফ্লোরাল প্রিন্টও ব্যবহার হয়েছে। অধিকাংশ পোশাকের ফেব্রিকসই সুতির।