দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে শিশু হারালে জেল-জরিমানার বিধান হচ্ছে
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রগুলো যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন গত আড়াই বছর ধরে ঘোরাঘুরি করছিল, গত তিন-চার মাসে একটু কেয়ার নিয়ে এটা চূড়ান্ত করা হয়েছে।”
এ আইন প্রবর্তন হলে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যববস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণির কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ নিয়ে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে।
“নির্ধারিত শিশু বা ক্ষেত্রমতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি তিন মাসে একবার করে শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে।”
বাংলাদেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবযত্ন কেন্দ্র রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, “এই আইন পাস হওয়ার পর অনুমোদন ছাড়া কেউ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে না। অনুমোদন ছাড়া এসব পরিচালনা করলে অপরাধ হবে।
শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে কোনো শিশু হারিয়ে গেলে ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান থাকছে নতুন আইনে।
যেসব শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র এখন পরিচালিত হচ্ছে, নতুন আইন পাস হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সেগুলোকে নিবন্ধন নিতে হবে। তখন সবগুলো শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে আসবে।
আনোয়ারুল জানান, নতুন আইন পাস হওয়ার পর শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা করবে, সেখানে সব বিষয়ে বিস্তাবিতভাবে বলে দেওয়া হবে।