ছিন্নমূল শিশুরা ‘ড্যান্ডি’র নেশায় আসক্ত
ছিন্নমূল শিশু। পথই তাদের ঠিকানা। বরিশাল নগরীর বিভিন্ন পার্ক, বাসস্ট্যান্ড, রাস্তার ধারে, সরকারি স্থাপনার খোলা বারান্দায় বা পথে পথে বেড়ে ওঠা এমন শিশুরা মাদকসেবন, মাদক পরিবহন, ছিঁচকে চুরিসহ অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
নগরীর লঞ্চঘাট, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড, কাঠালতলা, নথুল্লাবাদ, আমতলা পানির ট্যাংকসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে ড্যান্ডি সেবন করে এ সব শিশু-কিশোররা। মাদকাসক্ত এসব শিশুদের চিকিৎসার জন্য অর্থের বিনিময়ে বেসরকারিভাবে বরিশালে ৫০ আসনের ৫টি ও ১০ আসনের ১টি নিরাময় কেন্দ্র থাকলেও সরকারি কোন নিরাময় কেন্দ্র নেই।
সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে বছরের বিভিন্ন দিবসগুলোতে এসব শিশুদের নিয়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেলেও বছরের বাকি সময় তাদের পাশে কাউকে দেখা যায় না। ফলে অভিভাবকহীন এসব শিশুর পথচলা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোপনে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তাদের। আবার জোর করেও তাদের এসব ক্রিয়াকলাপে নিয়োগ করা হচ্ছে। ড্যান্ডির টাকা জোগার করতে অনেকে আছে ভিক্ষা ও চুরির সঙ্গে জড়িত।
বরিশালে অভিভাবকহীন, হারিয়ে যাওয়া, এতিম-মিসকিন শিশুদের জন্য শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং সরকারি শিশু পরিবার বালিকা নামে মোট তিনটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে মোট ৪০০ আসন থাকলেও সেখানে মাদকাসক্ত ছিন্নমূল শিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেই।
সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক আল মামুন তালুকদার জানান, মাদকাসক্ত ছিন্নমূল শিশুদের জন্য তেমন কিছু করার নেই। কারণ সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় এই ধরনের কোন প্রতিষ্ঠান নেই। তবে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এছাড়া আমাদের শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রেও ব্যাপক আসন সংকট।