করোনা: প্রধানমন্ত্রীর পাশে গানবাংলা পরিবার
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস রূপ নিয়েছে মহামারিতে। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চিকিৎসা, অর্থ আর খাবারের সংকটে ক্রমশ অসহায় হয়ে পড়ছে মানুষ। দেশের প্রতিটি মানুষ শামিল হয়েছে করোনাযুদ্ধে। যার নেতৃত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগেই সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যার অন্যতম অংশজুড়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল। আর সেই তহবিলে ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিয়ে চলমান করোনা যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম দুই মুখ কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নি দম্পতি। সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে এর আগে এত বড় অংকের অনুদানের খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার, ১৫ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে টিভি চ্যানেল গানবাংলা ও অনুষ্ঠান আয়োজক প্রতিষ্ঠান ওয়ান মোর জিরো কমিউনিকেশনস-এর পক্ষ থেকে তারা দুজন এই অনুদানের চেকটি হস্তান্তর করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এ সময় অনুদান গ্রহণ করেন মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি ও প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে গানবাংলার উদ্যোগে নির্মিত ও প্রকাশিত হয় শতকণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ’। গানটির শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ভেসে ওঠে ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়’ ও ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের পঙক্তি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে তথ্যটি অবহিত করেন সংগীতশিল্পী কৌশিক হোসেন তাপস।
প্রতিউত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাত উঁচিয়ে দৃঢ়কণ্ঠে পুনঃউচ্চারণ করেন, ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’। পাশাপাশি দুর্যোগেও ঘরে থেকে নতুন নতুন সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মানুষের পাশে থাকার পরামর্শ দেন সংগীত অন্তঃপ্রাণ তাপস-মুন্নি দম্পতিকে।
এ প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘সংস্কৃতি কর্মীদের যেকোনও সমস্যা-সংকটে সবসময় পাশে থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমন দুর্যোগে দেশের সব মানুষের পাশে থাকতে গানবাংলা পরিবারের এ ক্ষুদ্রতম অনুদান গ্রহণ করায় আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা মনে করছি, এ অংশগ্রহণ দেশের সব সংস্কৃতিকর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করছে। করোনাযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করতে যেকোনও প্রয়োজনে, প্রধানমন্ত্রীর যেকোনও নির্দেশে আমরা নিজেদের সর্বস্ব দিতে প্রস্তুত আছি। এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট এ দুর্যোগে শুরু থেকেই ভূমিকা রেখে আসছে গানবাংলা পরিবার। দুর্যোগের শুরুতেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১ হাজার পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও গত ২৬ মার্চ থেকে ইউএনডিপির ‘স্টে হোম চ্যালেঞ্জ’-এর পাশে দাঁড়িয়ে ১৬ দিনব্যাপী দেশ-বিদেশের ১৩০ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে গান-কথায় সামাজিক সচেতনতা তৈরি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘মিউজিক ফর পিস-এফ বি লাইভ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গানবাংলা। এর সঙ্গে প্রতিদিন সংযুক্ত ছিলেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।