করোনা চিকিৎসায় প্রথম ওষুধের অনুমোদন
করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় ‘রেমডেসিভির’ নামক একটি ওষুধ জরুরি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এটিই প্রথম কোন ওষুধ অনুমোদন পেল। খবর রয়টার্স।
মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওষুধটির কার্যকারিতা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করার দুই দিন পরই এফডিএ এই জরুরি অনুমোদন দিল। বুধবার (২৯ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের সংক্রামক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এ ওষুধ প্রয়োগ করার ফলে ৩০ শতাংশ রোগী খুব দ্রুত সেরে উঠছেন। ‘রেমডেসিভির’ প্রয়োগে রোগীর সুস্থ হওয়ার সময় ১৫ দিন থেকে ১১ দিনে নেমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফসি ওষুধটির ব্যাপারে বলেছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া তথ্য দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, করোনা থেকে দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রে ‘রেমডেসিভির’ কার্যকর।
শুক্রবার (১ মে) হোয়াইট হাউজে এক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জিল্যাড সায়েন্স ইঙ্কের তৈরি ‘রেমডেসিভির’ ওষুধটিকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য অনুমোদন দিয়েছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
জিল্যাড সায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ডেনিয়েল ও’ডে বলেছেন, কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে এফডিএ’র এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ। তিনি বলেন, তার কোম্পানি রোগীদের সাহায্য করতে প্রাথমিকভাবে ওষুধটির ১৫ লাখ বোতল সরবরাহ করছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে জাপানের অ্যাভিগানসহ কিছু ওষুধ কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় কার্যকর বলে নানা সময়ে জানা গেছে। এসব ওষুধ এখনও ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তবে এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলতি অবস্থায় এই প্রথম কোন ওষুধ করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় অনুমোদিত হল।
এখন অবধি করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ছাড়িয়েছে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি আক্রান্ত ও প্রায় ৬৬ হাজার প্রাণহানি হয়েছে।