করোনার ছুটিতে শিশুদের যেভাবে সময় দিবেন
বিশ্বজুড়ে এখন করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। অনেকেই আছেন গৃহবন্দী অবস্থায়। তবে গৃহবন্দি হিসেবে নয়, বরং হঠাৎ পাওয়া ছুটি ঘরে শুয়ে-বসে বই পড়ে, গান শুনে বা যোগব্যায়াম করে পার করতে পারেন। টিভিতে পছন্দের অনুষ্ঠান দেখুন। মন হালকা হলে, মাথা ঠান্ডা হলে নিজেই বুঝতে পারবেন যে এই ভাইরাসকে নিয়ে সারাক্ষণ অত ভাবার কিছু নেই। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারেন। বাসায় যদি ছোট কোনো শিশু থাকে যারা কেবলমাত্র পরিবার ও পরিবেশ থেকে শিখতে শুরু করেছে, তাদের উত্তম কিছু শিক্ষা দিতে পারেন।
আপনি যত ছোট থেকে অন্যদের সঙ্গে মেশা, ব্যবহার, আচরণ শেখাবেন তত তাড়াতাড়ি শিখবে শিশু। আজ থেকেই শুরু করুন, আপনার সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দিন। শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠনের দিকে নজর দিন আজ থেকেই। আপনার জন্য রইলো কিছু টিপস।
আপনার সন্তানের আদর্শ অভিভাবক হন
শিশুরা ছোট মা-বাবা ও গুরুজনদের দেখে শেখে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ভালো শিক্ষাগুলো শিশুদের শেখাতে পারেন। সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন, ভালো কাজ করুন, যাতে আপনার সন্তান বড় হয়ে তার গুরুজন্দের মতোই হতে চায়।
ধীরে শুরু করুন
একদিনে সব শেখাতে যাবেন না। শুরুতে অল্প অল্প করে শেখান। ওর বয়স অনুযায়ী ওর নেওয়ার ক্ষমতাও আপনাকে বুঝতে হবে। আগে বুঝে নিন নিয়ম কানুন, আচরণগুলো ঠিক কতটা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ওর, এরপর আস্তে আস্তে এগিয়ে যান। অতিরিক্ত চাপ দিলে মস্তিষ্কে প্রভাব পড়তে পারে, যা ওর বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাবে।
যাদুকরী শব্দ শেখান
ধন্যবাদ এবং দুক্ষিত’র মতো শব্দগুলো সন্তানকে শেখান। এগুলো কখন কিভাবে ব্যবহার করতে হয় শেখান ওকে। নমনীয় হতে শেখান।
শান্তভাবে বলুন
অযথা বকাবকি করবেন না। আপনার মাথা ঠান্ডা রেখে ওকে শেখান। যেহেতু আপনার সন্তানের বয়স অনেক কম, সেক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব গঠনের গুরুত্ব ও বুঝে নাও উঠতে পারে। তাই ধৈর্য ধরুন । হাল ছাড়বেন না। অযথা বকাবকি করলে ওর অকারণ জেদ চেপে যেতে পারে। এতে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
প্রথমে সেরা আশা করবেন না
শিশুদের সময় দিন। শেখার যেমন কোনও বয়স নেই, তেমন শেখার কোনও শেষও নেই। কাজেই আপনার বছর পাঁচ-ছয় বছরের শিশুদের কাছ থেকে আপনি অতিরিক্ত আশা করবেন না। ভালো কাজ, ভালো কথা বলা, এসব শিখতে শিশুকে কিছুটা সময় দিন। বয়স অনুযায়ী তা বদলাবে। এতে হতাশ হয়ে পড়ার কোনও কারণই নেই।
পুরস্কৃত করুন
আপনার সন্তান যখন কোনও ভালো কাজ করবে বা কথা বলবে, তার বদলে ওকে পুরষ্কৃত করুন, উৎসাহ দিন। এতে ওর মধ্যে ভাল কাজ করার আগ্রহ জন্মাবে, ফলে সে ভালো কাজ করতে থাকবে প্রায়। তবে খেয়াল রাখবেন, উপহার যেন অতি ব্যয়বহুল না হয়, এতে বিষয়টি নেশায় পরিণত হতে পারে। খেয়াল রাখবেন, সবটাই যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।