করোনাকালে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের যত্ন

সারা বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত। এমন পরিস্থিতিতে সবাই চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। কারোরই কিছু ভালো লাগছে না। ঘরে বসে থাকতে থাকতে সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।

বিশ্বজুড়ে ০২ এপ্রিল দিনটি পালিত হয় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে। অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৮ সাল থেকে বেশ ঘটা করে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

এই পরিস্থিতিতে শিশুরা বিশেষ করে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু/কিশোরদের জন্য ঘরে বন্দি হয়ে থাকা আরও বেশি কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে।

আর যেহেতু হঠাৎ করে স্কুলগুলো বন্ধ। তাই তাদের জীবনে ঘটেছে ছন্দপতন। এমতাবস্থায় শিশুদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য অভিভাবকেরা কিছু করতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-

•         চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া
•         এই সময়ে কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয় তা শেখানো
•         রুটিন করে দেয়া এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে সাহায্য করা। আবার রুটিনের যে পরিবর্তন হতে পারে তাও শেখানো
•         বাসায় যাবতীয় কাজে যুক্ত করা- যেমন সবজি কাটা, গাছের পরিচর্চা করা, বিছানা গোছানো, ফার্নিচার মোছা ইত্যাদি
•         অল্প সময়ের জন্য শিক্ষামূলক ভিডিও দেখতে দেয়া
•         সামাজিক গল্পের সাহায্যে শেখানোর চেষ্টা করা
•         যেহেতু বাবা মা বাসায় থাকছেন তাই শিশুর সঙ্গে যথষ্ট সময় কাটানো
•         না সূচক কথা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা
•         শিশুদের সামনে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা না বলা
•         অ্যানার্জি বার্ন হয় এমন কাজ করানো সেক্ষেত্রে রেগুলার এক্সারসাইজ করানো
•         সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির সহায়ক কাজ করানো
•         যাথা সম্ভব নিজের কাজ নিজেকে করতে উৎসাহিত করা
•         যাদের অস্থিরতা বেশি তাদের অবশ্যই অকুপেশনাল থেরাপিস্টের মতামত নিয়ে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া
•         শিশুদের সঙ্গে নির্দিষ্ট ও স্পস্ট উচ্চারণে কথা বলা
•         সহজ ও ছোট শব্দ ব্যবহার করে কথা বলা
•         কাজ করতে উৎসাহিত করা এবং সঠিক কাজের জন্য শিশুকে পুরস্কৃত করা

তবে মনে রাখা জরুরি প্রতিটা শিশু আলাদা হয়। তাদের পছন্দ-অপছন্দও হয় ভিন্ন। অভিভাবক হিসেবে আপনিই সবচেয়ে ভালো বুঝবেন তার জন্য কোনটি সঠিক। সবাই সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন।

লেখক: মারুফা হোসেন, পরিচালক, স্কুল ফর গিফটেড চিলড্রেন (এসজিসি), ঢাকা ও রাজশাহী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *