আপনার শিশু মাস্ক পরতে না চাইলে কী করবেন?

পৃথিবীটা আগের মতো হতে সময় লাগবে অনেক। মহামারী জয় করে এগিয়ে যাওয়ার পথ এখনও অনেকটা বাকি। কিন্তু আর কত বন্দি থাকা! কাজের প্রয়োজনে, টিকে থাকার তাগিদে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। করোনাভাইরাস ঠেকাতে কঠোর সামাজিক দূরত্ব এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি জোর দিতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

শিশুকে মহামারী সম্পর্কে জানান
শিশুদের এই সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করা কঠিন হতে পারে। যদিও স্কুল খুলতে পারে এমন কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি, তবুও ঘর থেকে বের হওয়ার আগে শিশুর মুখে মাস্ক পরার অভ্যাস করতে হবে। করোনাভাইরাসের নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন পেতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। হতে পারে তাে এক থেকে দেড় বছর বা তার থেকেও বেশি। এ কারণেই শিশুদের হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরা- এই নতুন বিষয়গুলো সাথে কীভাবে বাঁচতে হবে তা শেখানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুকে মাস্ক পরাতে যা করবেন
মাস্ক পরার ধারণাটি ছোট্ট শিশুর কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে, বিশেষত যখন দীর্ঘ সময়ের জন্য এটি পরা হয়। তাই শিশুর ব্যবহার উপযোগী করে মাস্ক কীভাবে তৈরি করতে হবে তা জেনে নিন।

শিশুকে মাস্কের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানান
আপনার সন্তানের কাছে সত্যিটা লুকাবেন না। আবার এমনভাবে বলতে যাবেন না, যাতে শিশু ভয় পেয়ে যায়। বরং তাকে তার মতো করে বুঝিয়ে বলুন, কেন সুস্থ থাকতে মাস্ক পরা জরুরি। শিশুকে বুঝিয়ে বলুন যে, হ্যান্ড ওয়াশিংয়ের পাশাপাশি মাস্ক পরাও তাকে সুরক্ষিত রাখে এবং জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে। সত্যিটাই তাকে সহজ করে বুঝিয়ে বলুন।

নিজের মাস্ক ব্যবহারে সচেতন থাকুন
শিশু যদি আপনাকে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতে দেখে তাহলে সেও মাস্ক পরার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। এতে তাদের মাস্কভীতি অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। শিশুর সহপাঠী বা তাদের মা-বাবার মাস্ক পরা ছবি-ভিডিও দেখিয়েও শিশুকে আগ্রহী করে তুলতে পারেন।

তাদের কিছু সময় দিন
শিশুকে জোর করে মাস্ক পরানোর বদলে তাকে অভ্যাস্ত হতে কিছুটা সময় দিন। তাদের প্রতিদিনের নানা কাজের সময় যেমন খেলা করা কিংবা টিভি দেখার সময়, বন্ধুর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সময় মাস্ক পরিয়ে দিতে পারেন। এতে করে মাস্কভীতি দূর হয়ে সে এটিকে প্রতিদিনের অংশ হিসেবে মেনে নিতে শিখবে।

শিশুর মাস্ক সাজিয়ে দিতে পারেন
শিশুরা রঙিন জিনিসে বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। তাই তাদের জন্য রঙিন মাস্ক তৈরি করে দিতে পারেন। মাস্কের উপর তাদের পছন্দের কোনোকিছু এঁকে তা সেলাই করে দিতে পারেন। এটি তাদের মাস্কের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে এবং ব্যবহারে উৎসাহী করবে।

মাস্ক আরামদায়ক কিনা তা দেখে নিন
আপনার সন্তানের মাস্ক সঠিকভাবে পরা হয়েছে তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, শিশু যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে কিনা তা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, এটি খুব শক্ত বা খসখসে কিনা তা পরীক্ষা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *