৬ দিন পর খালে মিলল শিশু মাফির লাশ
‘কারও সঙ্গে আমার শত্রুতা নেই। কিন্তু আমার ছেলেকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দিয়েছে। কারা, কেন আমার নিষ্পাপ বাচ্চাকে হত্যা করেছে, জানি না। ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন নূর উল্লাহ মাফির (৬) বাবা নুরুল আনছার। গতকাল মঙ্গলবার নিখোঁজের ছয় দিন পর মাফির অর্ধগলিত লাশ মিলেছে তার বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাঁশখালীর বাহারছড়ার জলকদর খালে। পরে স্বজনরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
পরিবারের অভিযোগ, মাফিকে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়। বাঁশখালীর ইলশা গ্রামের বাসিন্দা মাফি স্থানীয় চাঁপাছড়ি আবু বকর ছিদ্দিক (রা.) ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় গুনাগরি-মোশারফ আলী মিয়ার বাজার সড়কের ইলশা রাস্তার মাথায় বাড়ির সামনে থেকে সে নিখোঁজ হয়।
মাফির চাচাতো ভাই সচিব উদ্দিন সমকালকে বলেন, দুপুরে তাদের কাছে খবর আসে– বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে জলকদর খালে একটি শিশুর লাশ ভাসছে। দ্রুত তারা সেখানে যান এবং লাশ শনাক্ত করেন। মাফির মাথায় এবং ঘাড়ের নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নিখোঁজের পর বাঁশখালী থানায় জিডি করেন নুরুল আনছার। তিনি পুলিশের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।