গ্রিসের লেসবস দ্বীপে সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির মোরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ১০ টি ইউরোপীয় দেশ সেখানকার ৪০০ শিশুকে নিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মানি।
মোরিয়া শরণার্থী শিবিরে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ বাস করত; এটি ছিল শিবিরটির ধারণক্ষমতার চারগুণেরও বেশি। গত বুধবার আগুনে শিবিরটি পুড়ে যাওয়ায় এই শরণার্থীরা হয়ে পড়েছে আশ্রয়হীন।
তারা রাস্তায়, মাঠে-ঘাটে শুয়ে ঘুমিয়ে দিন কাটাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া শিবিরটির কাছে বাস করা অধিবাসীরা সেখানে নতুন করে তাঁবু গাড়তে দিতে নারাজ। তারা সেখানে ত্রাণ প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে।
স্থানীয়ভাবে শরণার্থীদের রাখার ব্যবস্থা করতে গ্রিক সরকার লেসবসে একটি দল পাঠালেও অধিবাসীরা সেখানে নতুন শিবির স্থাপনের বিরোধিতা করছে।
এ পরিস্থিতিতে গ্রিসের পুড়ে যাওয়া শিবিরটির অভিভাবকহীন শিশুদের নিতে রাজি হওয়া ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স এবং জার্মানি ১শ থেকে দেড়শ’ জনকে নেবে বলে জানিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল এরই মধ্যে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে কিছু শরণার্থী শিশু নিতে রাজি বলে জানিয়েছেন।
লেসবসের রাজধানী মিতিলিনের উত্তরপূর্বে অবস্থিত মোরিয়া শিবিরে ৭০টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের নাগরিক থাকলেও মোট শরণার্থীর ৭০ শতাংশই আফগানিস্তানের।