স্কুলে শিশুকে যে কারণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেবেন না

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাবান পানিতে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।

স্কুল খুলেছে। শিশুর সুরক্ষার কথা ভেবে আপনি হয়তো তার ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিতে চাইবেন। কিন্তু হ্যান্ড স্যানিটাইজার শিশুর জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যাপক ব্যবহার ভালো নয়, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা আছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ কথা আরো বেশি প্রযোজ্য। শিশুদের নিজ দায়িত্বে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দিলে কেবল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নয়, বিপদের আশঙ্কাও আছে।

আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পিডিয়াট্রিক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিশুদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে অ্যালকোহল পয়জনিংয়ের ঝুঁকি রয়েছে। কানেক্টিকাট চিলড্রেন’স মেডিক্যাল সেন্টারের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিসিয়া গার্সিয়া বলেন, ‘শিশুরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরপরই হাত মুখের সংস্পর্শে নিলে অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়া হতে পারে। শিশুর হাত ভেজা থাকলেও এই ঝুঁকি রয়েছে।’

ক্যালিফোর্নিয়ার ফাউন্টেন ভ্যালিতে অবস্থিত মেমোরিয়াল কেয়ার অরেঞ্জ কোস্ট মেডিক্যাল সেন্টারের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জিনা পোসনারের মতে, ‘শিশুদের পক্ষে নিশ্চিত হওয়া কঠিন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর শুকিয়েছে কিনা। শিশু ভুলে বা সহপাঠীদের প্ররোচনায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার খেয়ে ফেললে মৃত্যুও হতে পারে।ইতোমধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

হাত ভাইরাসমুক্ত করতে শিশুর করণীয়

শিশুর হাত করোনাভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু থেকে মুক্ত করতে সাবান-পানি সর্বোত্তম বলে মনে করেন নিউ ইয়র্কের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রাজিব ফার্নান্দো। স্কুলে যথাযথভাবে হাত ধোয়ার জন্য শিশুকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের নিম্নে উল্লেখিত নির্দেশনায় অভ্যস্ত করতে পারেন-

* প্রথমে শুষ্ক হাত পানিতে ভেজাতে হবে, অতঃপর সাবান মাখতে হবে

* উভয় হাত পরস্পর ডলতে হবে। যথাক্রমে হাতের তালু, হাতের পিঠ, আঙুলের ফাঁক ও নখের নিচে

* কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড এই ডলনকার্য চলবে

* এরপর পরিষ্কার পানিতে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে

স্কুলে কেবল সাবান পানিতে হাত ধোয়া নয়, অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কেও সচেতন করে তুলতে হবে। মাস্ক পরা, নিরাপদ দূরত্বে থাকা ও যত্রতত্র স্পর্শ না করা সম্পর্কে তাকে প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Warning: Undefined array key 0 in /home/freevec2/bdchild24.com/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924