বাচ্চার মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ টিপস

প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর দিনটি ভারতবর্ষে শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। তাই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিনটাই শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শিশুদের অধিকার, শিক্ষা এবং কল্যাণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শিশু দিবস উদযাপন করা হয়। তবে বর্তমান দিনে এই সকল বিষয়ের পাশপাশি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যর (Child mental health) বিষয়েটাও গুরুত্বপূর্ণ  (important) হয়ে উঠেছে। বিশেষত বর্তমান দিনে প্রতিযোগীতার ইঁদুর দৌড়ের মাঝে পড়ে শিশুদের শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে। এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

১। বাচ্চাদের অনুভুতি সম্পর্কে বাবা মায়ের অবগত থাকাটা খুব গুরুত্ব পূর্ণ। বাচ্ছাকে কীভাবে তাদের অনুভুতি সামলাতে হবে তা না শিখিয়ে তাদের পরিস্থিতি অনুযায়ী চিন্তাভাবনা ও আবেগ প্রকাশ করতে সাহায্য করা উচিত। ছোট থেকে তাদের শেখানো উচিত যে দুঃখ কষ্ট জীবনের অঙ্গ। সেটা মেনে নেওয়াই উচিত।

২। শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বাবা মায়ের সঙ্গে শিশুর সু সম্পর্ক রাখা অত্যন্ত জরুরী। তাই আপনার বাড়ির পরিবেশ হাসিতে খুশিতে ভরিয়ে রাখা এবং বাচ্চার সঙ্গে বেশি সময় কাটান খুব জরুরী যাতে বাচ্চা বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয় পায়।

৩। পড়াশোনার চাপ থেকে বাচ্চাদের মাঝে মাঝে বিরতি প্রয়োজন সেই সময় বাচ্চারা যেটা করতে ভালবাসে তাদের সেটাই করতে দেওয়া জরুরী। প্রয়োজনে আপনিও বাচ্চাদের সঙ্গে বাড়িতেই খেলায় মেতে উঠুন।

৪। বর্তমান দিনে বাচ্চারা ছোটো থেকেই মোবাইল এবং ল্যাপটপ ব্যবহারে অভ্যস্ত। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই বাচ্চাদের ছোটো থেকেই বোঝাতে হবে যে সোশ্যাল মিডিয়া কতটা ক্ষতিরক। সেই সঙ্গে ছুটির দিনে আপনিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন এবং বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটান।

৫। ছোটো থেকেই বাচ্চাদের ধ্যান, যোগব্যায়াম, ও ব্যায়াম শেখানো জরুরী। যোগব্যায়ামের মাধ্যমে বাচ্চার মননশীলতা তৈরি হয়। সমস্ত পরিস্থিতিকে সহজে মেনে নেওয়ার মত বাচ্চাদের মানসিক দৃঢ়তা তৈরি হয়।

৬। বাচ্চাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কোনও পরিস্থিতি বা কোনও মানুষ সম্পর্কে আপনার বাচ্চা কোনও মতামত দিলে সেটা আপনার কাছে যতই তুচ্ছ হোক তা গুরুত্ব সহকারে শুনুন এবং সে কেন এরকম বলছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। বাচ্চার কথা বিশ্বাস করাটাও এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Warning: Undefined array key 0 in /home/freevec2/bdchild24.com/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924