৪৪২ শিশু শিক্ষার্থী এখন শ্বশুরবাড়ি

যশোরের কেশবপুরে করোনাকালে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ১ হাজার ১২৪ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এরমধ্যে ৪৪২ জন শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে তারা এখন শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছে। এছাড়া লেখাপড়া বন্ধ করে ২৪০ জন শিক্ষার্থী জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছে শিশু শ্রমে। তবে অনিয়মিত ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরানোসহ নতুন করে কোনো ছাত্রী যেন বাল্য বিয়ের শিকার না হয়, সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ উপজেলায় ৭২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১১টি কলেজ ও ৫২টি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৬১৯ জন। করোনার কারণে ৫৪৪ দিন বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলেছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজিরা খাতা অনুযায়ী অনুপস্থিত, ঝরে পড়া ও বিবাহিত শিক্ষার্থীর তথ্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ তালিকায় রয়েছে মাধ্যমিকের ৪২১ জন ও মাদ্রাসার ২৬১ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে মাধ্যমিকে ২৫৩ ও মাদ্রাসার ১৮৯ জন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমরা স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকার সচেতন মানুষদেরকে নিয়ে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে চেষ্টা করছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *