সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিবারে হাসিমুখ’র ঈদ উপহার
ঈদকে সামনে রেখে সুবিধাবঞ্চিত ২০০ শিশুর পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়েছে ‘হাসিমুখ’ সমাজ কল্যাণ সংস্থা। এ নিয়ে হাঁসিমুখ’র পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে চরম সংকটে থাকা ওই পরিবারগুলোকে পঞ্চম দফায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হলো।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ধানমন্ডির মেহেরুন্নেসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে রাজধানীর পরিবাগ, বাংলামোটর, হাতিরপুল ও কাঁঠালবাগানে বসবাসরত সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশুর পরিবারকে এসব খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হয়।
খাদ্যপণ্য হিসেবে ছিল ইস্পাহানী টি লিমিটেডের সৌজন্যে পরিবার প্রতি পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল ও আধা লিটার ভোজ্য তেল এবং অনলাইন কমিউনিটি ‘ফুড ব্যাংক’-এর সৌজন্যে আলু, পেঁয়াজ, লবণ, চিনি ও লাচ্ছা সেমাই সরবরাহ করা হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ‘হাসিমুখ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা নুসরাত একা। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে পথশিশুসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ‘হাসিমুখ’ গত ২৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার খাদ্যপণ্য বিতরণ করেছে। ১৫ দিন পরপর এই সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।
গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে ‘হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা’। সংস্থাটি ‘হাসিমুখ’ নামে একটি বৈকালিক স্কুল পরিচালনা করে। সপ্তাহে (শুক্রবার বাদে) ছয় দিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্কুলের কার্যক্রম চলে। সেখানে তিন শতাধিক শিশুর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে কাজ করেন ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক।
এছাড়া সংস্থাটিতে দেড় শ’রও বেশি অনিয়মিত স্বেচ্ছাসেবক ‘হাসিমুখ’র হয়ে সেবামূলক নানা কার্যক্রমে অংশ নেন। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমানে স্কুলটি বন্ধ থাকলেও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের ন্যূনতম খাবারের চাহিদাপূরণসহ করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতামূলক অব্যাহত রেখেছে ‘হাসিমুখ’।