সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আলোকিত শিশু স্কুল

২০১৫ সালে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আলোকিত শিশু স্কুলের কার্যক্রম শুরু করেন ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী মিথুন দাস কাব্য ও তাঁর কয়েকজন সহপাঠী। বর্তমানে তাঁর সঙ্গে কাজ করছেন দেশের প্রায় ৭০০ স্বেচ্ছাসেবী। এই স্বেচ্ছাসেবকরা শুরুর দিকে পথশিশুদের খোলা আকাশের নিচে পড়ানোর পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা ও খাদ্য সরবরাহ দিয়ে আসেন। পরে তাঁরা ঠিক করেন, শিশুদের পড়ানোর জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করবেন। এরপর গড়ে তোলেন আলোকিত শিশু ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন মূলত পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করছে। আলোকিত শিশু তরুণদের নিয়েও কাজ করেছে। সামাজিক নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও পাওয়া যায় আলোকিত শিশুর স্বেচ্ছাসেবকদের।

নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোকিত শিশুর প্রতিষ্ঠাতা মিঠুন দাস কাব্য বলেন, ‘বস্তির সুবিধাবঞ্চিত সেসব শিশুকে পড়াই আমরা, যাদের মা-বাবা পড়াশোনার বিষয়ে একদমই অসচেতন এবং সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে অক্ষম। দেশে যখন শিক্ষার হার বাড়ছে, তখন এসব শিশু পিছিয়ে রবে কেন? এমন প্রশ্ন থেকেই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য আমরা কাজ শুরু করি।’

আলোকিত শিশু ফাউন্ডেশনের দুটি স্কুলে বর্তমানে ১১০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। প্রতি মাসে স্বেচ্ছাসেবকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে এবং মাসিক অর্থের বিনিময়ে শিশুদের অভিভাবকের দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে সমাজের অনেকেই তাঁদের এই কার্যক্রম পরিচালনায় এগিয়ে এসেছেন।

ভবিষ্যতে পরিকল্পনা জানতে চাইলে সংগঠনের ফয়সাল আমিন বলেন, ‘কোয়ালিটি এডুকেশন প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া এবং লার্নিং প্রসেস আরও সহজ করে তোলাই আমাদের কাজ। আর এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে কমিউনিটি ইম্প্যাক্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু করেছি, যার মাধ্যমে এবার তরুণরা সরাসরি কমিউনিটিতে গিয়ে শিক্ষা নিয়ে ফুলটাইম, মানে ছয় মাসের বেশি সময় কাজ করবে। এর পাশাপাশি ঢাকার মধ্যেও আমাদের কিছু কার্যক্রম শুরু হবে। সেদিকেই আমরা এগোচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Warning: Undefined array key 0 in /home/freevec2/bdchild24.com/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924