বিরামপুরে অ্যাকোয়া থিম বিনোদন পার্ক

পারিবারিক কথোপকথনের সূত্র ধরেই শুরু করি। সম্প্রতি সাপ্তাহিক ছুটির দিনের বিকেলে আমার মেয়ে ‘অন্তু’র (বয়স ৬ বছর) খেলা শেষে আমরা বাসায় ফিরছি। ফেরার পথে ওকে বললাম ‘দেশে গিয়ে তুমিতো এত সুন্দর খেলার জায়গা বা খেলার রাইড পাবে না, তখন তুমি কী করবে?’ মুহূর্তেই অন্তুর মনটা খারাপ হয়ে গেল। এমন প্রশ্নে অন্তুর মনটা খারাপ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। সে আগে পরে কিছু না ভেবেই বলল ‘আমি দেশে যাব না’। আমি বললাম ‘এটা তো আমাদের দেশ না। আমাদের দেশে আমাদের তো ফিরতেই হবে। আমার পড়ালেখা শেষ হলেই দেশে গিয়ে আমাকে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে হবে। তোমাকে স্কুলে যেতে হবে।’ কিন্তু এসব কথাতে অন্তু আরও বেশি মন খারাপ করছে। কিছুক্ষণ পরেই সে বলে উঠল ‘পাপা তুমি তো লেখালেখি কর। দেশের সরকারকে বলো না, আমাদের মতো বাচ্চাদের কিছু খেলার জায়গা বানাতে। আমরা যেন নিজেদের প্রতিদিনকার পড়ালেখা শেষে সেখানে মনের মতো করে খেলতে পারি। চাইনিজ বাচ্চারা কত সুন্দর সুন্দর জায়গায় খেলে। আর আমাদের দেশে এমন খেলার জায়গা নেই কেন, পাপা?’

খুব অল্প সময়ের মধ্যে, একরকম এক দমের ভিতর অন্তুর বলা এতগুলো কথার তেমন কোনো উত্তর খুঁজে পেলাম না। শুধু বললাম ‘হ্যাঁ মামনি, হয়তো কিছুদিন পরে আমাদের দেশেও এমন ব্যবস্থা হবে।’ কিন্তু কবে হবে তার সঠিক হিসাব অন্তুকে দিতে পারলাম না। অন্তুর ছোট্ট মনে এত দীর্ঘ ক্ষোভের বেশ কিছু কারণ আছে। চীনে আসার পরে সে দেশে বাচ্চাদের বিনোদন কেন্দ্রগুলোর সাথে এখানকার বিনোদন কেন্দ্রগুলোর যথাযথ পার্থক্য খুঁজে পেয়েছে। তাই দেশে ফেরার আগে তার মনে এসব নিয়ে বেশ ক্ষোভ জমেছে। আমার কাছে মনে হয়, এই ক্ষোভের কথাগুলো অন্তুর থেকে শোনা গেলেও দেশের শহরাঞ্চলে বসবাসকারী অধিকাংশ বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের থেকে অহরহ শুনে থাকে।

একটি আদর্শ নগর গঠনে সার্বিক দিক বিবেচনার পাশাপাশি বাচ্চাদের মেধা বিকাশ, তাদের অবাধ বিচরণের জন্য যথোপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা অতীব জরুরি। চীনাদের ভিতরে যেটা সচারাচার সবারই চোখে পড়বে। চীনে শিশুদের বিনোদনের জন্য আলাদাভাবে কোনো শিশু পার্ক আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এখানে অহরহ, যেমন: নদীর পাড়, রাস্তার পাশে, বড় বড় পার্কগুলোতে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য সার্বিক ব্যবস্থা করা আছে। এসব স্থানে বাচ্চাদের খেলার যাবতীয় সরঞ্জামাদি দেওয়া আছে। এসব জায়গায় তিন বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে ১০-১২ বছরের বয়স পর্যন্ত বাচ্চারা খেলতে যায়। এসব বিনোদন কেন্দ্রের ভিতরে কোনো রকমের হকার বা খাবার বিক্রেতাকে কখনো দেখা যায় না। ফলে বাচ্চারা যখন তখন অস্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খাওয়ারও সুযোগ পায় না। তবে বিনোদনকেন্দ্রগুলোর প্রবেশ পথের নির্দিষ্ট স্থানে বাচ্চাদের খেলনার কিছু কিছু সরঞ্জামাদি, যেমন: ঘুড়ি, ছোট ছোট বালতি, বেলচা ইত্যাদি চোখে পড়ে।

চীনের অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের যতদূর সম্ভব বাসার বাইরে খেলায় ব্যস্ত রাখে। এর ফলে বাচ্চাদের ভিতর মোবাইল ফোন দেখার প্রবণতা একেবারে নেই বললেই চলে। একটা শিশুর ঘরের কোণে বসে সারাক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটারের গেমে ব্যস্ত থাকাটা কখনো তার জন্য স্বাভাবিক বিনোদন হতে পারে না। কেননা ভার্চুয়াল এসব গেমে তাদের মেধার বিকাশ তো ঘটেই না, পক্ষান্তরে এগুলো শিশুদের জন্য অনেক ক্ষতিকর কারণ হতে পারে। একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে হলে শিশুদের খেলার মাঠের কোনো বিকল্প নেই। অন্যান্য শিশুর সঙ্গে মিশতে দিয়ে তাদের সঠিক বিকাশের সুযোগ দেওয়াটাই উত্তম। সেই সাথে বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিনোদন যেমন কবিতা, গান, বিতর্কসহ অন্যান্য বিনোদনে যুক্ত হওয়া শিশুদের একান্ত কাম্য। শিশুদের এসব বিনোদনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক রয়েছে। যেমন: শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ, ব্রেন ডেভেলপমেন্টসহ নানান বিষয় বিনোদনের সাথে জড়িত। বাইরে খেলাধুলা ও বিনোদনের মধ্য দিয়ে শিশুরা তাদের নানান বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়। সেইসাথে তাদের সঠিক বৃদ্ধি, শরীর গঠন ও সামাজিকতা বৃদ্ধি করতে বাসার বাইরে খেলাধুলোর কোনো বিকল্প নেই। সমীক্ষায় দেখা গেছে, একটি শিশুর শৈশবের শুরুতে সবচেয়ে দ্রুত বিকাশ হয়। শিশুদের জন্মের পর থেকে এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকে প্রায় আট বছর বয়স পর্যন্ত। শিশুর ছয় মাস বয়সের মধ্যেই তার মস্তিষ্কের অর্ধেক গঠিত হয় এবং আট বছরের মধ্যে তৈরি হয় প্রায় ৯০ শতাংশ। অর্থাৎ একটি শিশুর জন্য এই আট বছর বয়স পর্যন্ত বিশেষ করে তার বুদ্ধিবৃত্তি, আবেগ, সামাজিক যোগাযোগ ও শারীরিক সম্ভাবনা বিকাশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুদের যথাযথ মানসিক বিকাশের জন্য বিনোদন কেন্দ্রের প্রয়োজন থাকলেও আমাদের রাজধানীতে শিশুদের জন্য ঠিক কতটি বিনোদনকেন্দ্র আছে তার নির্ভরযোগ্য কোনো পরিসংখ্যান মেলাতে পারিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানতে পারলাম, ঢাকা শহরের ৬৭ শতাংশ শিশুর বাড়ির কাছাকাছি খেলাধুলা করার কোনো সুযোগ নাই। সেইসাথে আরও জানলাম, ঢাকার ৯৫ ভাগ স্কুলে কোনো খেলার মাঠ নেই। সিটি কর্পোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকায় মোট ৫৪টি পার্ক ও ২৫টি খেলার মাঠ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এগুলোর অস্তিত্ব এবং পরিবেশের প্রকৃত চিত্র আমাদের সবারই জানা। তথ্যমন্ত্রণালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ শিশু তাদের বসবাসের আশাপাশে খেলার জায়গার অভাবের কথা বলেছে। ৪,২০০ শিশুর মধ্যে চালানো জরিপে শিশুদের কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা জানতে চাওয়া হলে ৮৩ শতাংশ শিশু বলেছে, তারা চায় এলাকায় একটি খেলার মাঠ তৈরি করে দেয়া হোক। শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার এসব নানান প্রতিবন্ধকতা শুধুমাত্র যে রাজধানীতে আছে ঠিক তেমনটি না। দেশের প্রায় সকল বিভাগীয় শহরগুলোর খুব চিরচেনা দৃশ্য এটি। উপযুক্ত বিনোদন কেন্দ্র এবং শিশুদের অবাধ চলাচলে তেমন কোনো সুযোগ না থাকায় শিশুরা মানসিক বৃদ্ধিতে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

উচিত ছিল শহরাঞ্চলের বিভিন্ন পার্কে বড়দের হাঁটাহাঁটি করারা সুযোগসহ শিশুদের আলাদাভাবে খেলাধুলা করার ব্যবস্থা রাখা। সেখানে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি শিশুদের খেলাধুলার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, সেখানে যেন একজন নিন্ম আয়ের মানুষও তার বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরে আসার সুযোগ পায়। বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকা যেমন: ধানমন্ডি, কলাবাগান, গুলশান, বারিধারাসহ বিভিন্ন স্থানে শিশুদের জন্য প্লে-জোন তৈরি করা হয়েছে। এসব প্লে-জোনে শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভার্চুয়াল গেমের ব্যবস্থা করা আছে। বেশিরভাগ অভিভাবকের প্লে-জোনের ওই খেলনাগুলো শিশুদের বয়স উপযোগী কিনা তা তাদের বিবেচনায় নেই। আবার প্লে-জোনে শিশুদের ঢোকার শর্ত হচ্ছে ফাস্টফুড কিনতে হবে। এসব ক্রয়কৃত ফাস্টফুডের দামের ওপরে হিসাব করে গেম কয়েন দেয়া হয়। এছাড়াও আলাদা টাকা দিয়ে গেম কয়েন কেনার ব্যবস্থা করা আছে। শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে এই প্লে-জোনে গিয়ে বেশ ভালো অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই খেলায় বুঁদ হয়ে থাকে। একই চিত্র দেশের কিছু অভিজাত শপিং মল যেমন: বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্কেও দেখা যায়। দেশের অধিকাংশ নিন্ম আয়ের মানুষের সামর্থ্য নেই মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এসব বিনোদন কেন্দ্র বা প্লে-জোনে শিশুদের খেলাতে নিয়ে যাওয়ার। আবার অনেক অভিভাবক অনেকটা নিরুপায় হয়ে ওসব স্থানে নেওয়া ছাড়া আর কোথায় নিয়ে যাবে তা তারা খুঁজে পাচ্ছে না।

শিশুদের বিনোদনের অন্য একটি মাধ্যম হওয়া উচিত তাদের বিদ্যালয়। কিন্তু, ঢাকার বিদ্যালয়গুলোর একঘেঁয়ে পড়াশোনাও শিশুদের সুস্থ বিনোদনের অন্তরায়। তাদের খেলাধুলার জন্য বিদ্যালয়গুলোতে যেমন মাঠ নেই, তেমনি তাদের প্রতিভা বিকাশের উপযুক্ত ব্যবস্থাও দেখা যায় না। একমাত্র বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বা খোলা জায়গায় সহপাঠী এবং বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে খেলাধুলা করে শিশুরা বিস্তৃত পরিবেশে নিজেদের প্রকাশ করে এবং খাপ খাইয়ে নেয়। এছাড়াও বিভিন্ন খেলাধুলার শৃঙ্খলা ও নিয়মনীতি শিশুদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও শৃঙ্খলতাবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। পড়ালেখার মাধ্যমে জ্ঞান আহরণের পাশাপাশি এসব সহশিক্ষা কার্যক্রম তাদের বাস্তব জীবন সম্পর্কে অনেক বেশি ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি নানা ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়।
শিশুদের শিক্ষা ও আনন্দ একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আনন্দ ছাড়া কোমলমতি শিশুরা শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত হয় না। এ প্রসঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘আনন্দহীন শিক্ষা, শিক্ষা নয়, যে শিক্ষায় আনন্দ নেই, সে শিক্ষা প্রকৃত শিক্ষা হতে পারে না।’ শিশুরা শিখবে আনন্দের মাধ্যমে, একান্তই নিজেদের ইচ্ছামতো, খেলার ছলে, ঘুরেফিরে, মনের অজান্তে, কল্পনার রাজ্যে রঙিন ফানুস উড়িয়ে। শিশুদের শিক্ষাকে চার দেয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ রেখে তাদের মনের চর্চা করার সুযোগ দেওয়া উচিৎ। শিশুরা সর্বদা অজানাকে জানার সঙ্গে মিতালি করবে। আনন্দই হতে হবে শিশু শিক্ষার একমাত্র বাহন ও মাধ্যম। আনন্দমূলক শিক্ষার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ের পরিবেশ হতে হবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুশোভিত, মনোরম ও শিশু উপযোগী। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে থাকতে হবে মানসম্মত খেলার মাঠ ও পর্যাপ্ত খেলাধুলার সামগ্রী। কোলাহলমুক্ত পরিবেশের পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়ে থাকতে হবে পর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ, সহশিক্ষা কার্যক্রম, শিশুতোষ সাহিত্য ও লাইব্রেরি। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান শিশুদের জন্য আনন্দভ্রমণ, আবৃতি, গান, নৃত্য, অভিনয় নানা ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। উক্ত আয়োজনগুলো শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ সুযোগ-সুবিধা থাকাটা বাঞ্ছনীয়।

অপরদিকে, শিশুদের প্রাকৃতিক জগত থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে মোবাইল, কম্পিউটারের বিভিন্ন অনলাইন গেম তাদের বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে তোলে। খেলাধুলা দৌড়ঝাঁপের মধ্যে শিশুরা যে আনন্দ খুঁজে পায় অনলাইন গেমে তো সেগুলো হয়ই না, উল্টো এগুলো শিশুদের নানান সমস্যা তৈরি করে। তাদের ভার্চুয়াল বিনোদনে অভ্যস্ত করলে সাময়িক আনন্দে থাকে আবার বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী জীবনে তারা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক রোগে ভোগে। এ ধরনের শিশুরা শৈশব থেকে কৈশরে পদার্পণের সাথে সাথে উছৃঙ্খল জীবন যাপন শুরু করে। তাদের মধ্যে শোভা পায় নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ। তাই শিশুকাল থেকেই তাদের বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলেই শিশুদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এক একটি শিশুই এক একটি জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ও কর্ণধার। প্রতিটি শিশুর মধ্যেই লুকায়িত আছে অদম্য মেধা, সুপ্ত প্রতিভা। তাদের সেই সুপ্ত মেধাকে জাগ্রত করার উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া আমাদের নীতিগত দায়িত্বের ভিতর পড়ে। বিশুদ্ধ খাদ্য, নির্মল বায়ু, সবুজ পরিবেশ ও যথাপযুক্ত বিনোদন একটি শিশুর দ্রুত মানসিক বিকাশের সাথে তার বেড়ে ওঠার জন্য সহায়ক। আমাদের দেশে এগুলোর সব কয়টির বেশ অভাব রয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে বেড়ে ওঠা শিশুদের মেধা বিকাশের অন্যতম উপায়। চার দেয়ালের মধ্যে জেল খানার মতো বন্দি দশা একটি শিশুর মেধা বিকাশে কখনো সহায়ক হতে পারে না। মুক্ত পরিবেশে, পর্যাপ্ত আলো বাতাসের উপস্থিতিতে তাদের প্রত্যেকের বেড়ে ওঠার অধিকার আছে। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আমরা নিশ্চিত করতে পারছি সেটা অবশ্যই দেশের নীতি নির্ধারকদের গুরুত্বের সাথে ভেবে দেখা উচিৎ।

লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Warning: Undefined array key 0 in /home/freevec2/bdchild24.com/wp-content/plugins/cardoza-facebook-like-box/cardoza_facebook_like_box.php on line 924