শীতেও ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে পারে আপনার শিশু! বুঝবেন কী ভাবে?
শিশুদের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন। জন্মের পর প্রথম এক বছর তাদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটা বড় অংশই আসে মাতৃদুগ্ধ থেকে। শিশুর ওজন দেখেই সাধারণত শিশুর সুস্থতা নির্ণয় করা হয়। তবে শুধুমাত্র ওজন দেখেই কিন্তু শিশুর সুস্থতা নির্ণয় করা ঠিক নয়। এমন আরও অনেক চিহ্ন আছে যা দেখে বোঝা যায়, শিশুটির শরীরে কোনও অসুস্থতা বাসা বাধছে কিনা। শিশুর জন্য বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে ডিহাইড্রেশন। কী ভাবে বুঝবেন, আপনার ছোট্ট সোনার শরীরে জলের ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা জেনে নিন।
* শিশুর শরীরে জলের ঘাটতি রয়েছে কিনা তা জানতে ঠোঁট ও মুখের চারপাশে কোনও শুষ্কতা আছে কিনা, তা লক্ষ্য করুন। ডিহাইড্রেশনের কারণে হাত ও পা অস্বাভাবিক রকমে ঠান্ডা বা গরম হয়ে যেতে পারে মাঝে মাঝে।
* শিশুর কান্নার সময় তার চোখ দিয়ে জল পড়ছে না। এটা কিন্তু ডিহাইড্রেশনের একটা বড় চিহ্ন। শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে তখনই শিশুর কান্নায় চোখ দিয়ে জল পড়ে না।
* আগে আপনার শিশুর দিনে যতবার ডায়াপার পালটাতে হত, তার চেয়ে এখন কম ডায়াপার বদলাতে হচ্ছে? এর অর্থ হতে পারে আপনার সন্তানের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিলে তার প্রস্রাব হলুদ রঙের হবে।
* শিশুর শরীরে জল কম থাকলে সে খিটখিটে হয়ে পড়বে। শিশু সব সময় ঘ্যানঘ্যান করলে বা কান্নাকাটি করলে হতে পারে তার ডিহাইড্রেশন হয়েছে। তবে শিশু অতিরিক্ত কান্নাকাটি করলে তার অন্য আরও সমস্যাও থাকতে পারে।
* শিশুর ডায়রিয়া হলে বা বারবার বমি করলে তার শরীরে জলের অভাব দেখা দিতে পারে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শিশুকে নুন, চিনি মেশানো জল বারবার অল্প অল্প করে খাওয়াতে থাকুন।
* শিশুর মুখে সংক্রমণ হলে তখন তার কিছু খেতে বা পান করতে সমস্য়া হয়। এই ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
* শিশুর শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে তার চোখ ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে। শিশুর চোখের দিকে লক্ষ্য রাখুন। চোখ ঘোলাটে হলে হতে পারে সে ডিহাইড্রেশনে ভুগছে।