শিশু ওয়ার্ডে ঠাঁই নেই

শীতের শুরুতেই ঝিনাইদহে শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। জ্বর, নিউমোনিয়ার পাশাপাশি  ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ৪০ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার ১৭৪ জন শিশু রোগী ভর্তি ছিল। গতকাল শুক্রবার ১৬৫ জন শিশু রোগী ভর্তি দেখা গেছে।

নির্ধারিত শয্যার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি শিশু রোগী ভর্তি হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হঠাৎ রোগির চাপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় থেকেই অনেকে চিকিৎসা নিচেছন। এ অবস্থায় আবহাওয়া পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে শিশুদের শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সদর উপজেলার নারায়নকান্দি গ্রামের রত্না খাতুন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত দেড় মাসের শিশু আয়ানকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এর আগে পাঁচদিন ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। পরে সুস্থ হলে তাকে নিয়ে বাড়ি চলে যাই। এক সপ্তাহ পর গত বুধবার থেকে বাবু’র আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ফলে বৃহস্পতিবার আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

ওষুধ চলছে। শ্বাসকষ্ট থাকায় নাকে নল দিয়ে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। বেশীর ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।’

সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের গৃহবধূ সালমা খাতুন জানান, গত ৮ তারিখে ছেলের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর থেকে শরীর একটু ভালো।

হাসপাতালে এতো বেশী রোগী যে বেড পাওয়াতো দূরের কথা মেঝেতেও জায়গা হচ্ছে না। মেঝে খুব ঠাণ্ডা। ভয় হচ্ছে মেঝেতে থাকার কারনে আবার হিতে বিপরীত হয়ে যায় কি না। তারও অভিযোগ, হাসপাতালে ওসুধ সরবরাহ খুব কম। অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু বেশি ভর্তি হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে নির্ধারিত বেড ৪০টি। বেডের তুলনায় রোগী কয়েকগুণ বেশি। শিশু ওয়ার্ডে একজন কনসালটেন্ট, দুইজন মেডিকেল অফিসার, দুইজন নার্স ডিউটি করেন। সল্প সংখ্যক জনবলে এই বিপুল সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *