শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে ফেসবুক

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজেদের সাফাই গেয়ে বলেছে যে, ইনস্টাগ্রাম তরুণদের ‘ইতিবাচকভাবে সাহায্য করেছে’। এটির বিশ্ব নিরাপত্তা প্রধান অ্যান্টিগোন ডেভিস, মার্কিন সিনেটে শিশু সুরক্ষার বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইনস্টাগ্রামের নিজস্ব গবেষণায় দেখা গেছে, কিভাবে এই প্ল্যাটফর্ম শিশুদের সুস্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। সেই গবেষণার ফলাফল ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।

এর আগে ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি বলেছেন, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অ্যাপটির প্রভাব খুবই সামান্য।

ফেসবুকের নিজস্ব গবেষণার ভিত্তিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রথমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তাতে বলা হয়, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারের ফলে শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের মধ্যে নিজের চেহারা ও শারীরিক গঠন নিয়ে আত্মসম্মানবোধের অভাব দেখা দিচ্ছে।

ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নিজেদের মধ্যে উদ্বেগ এবং হতাশার হার বৃদ্ধির জন্য ইনস্টাগ্রামকে দায়ী করেছে কিশোর-কিশোরীরা।

অ্যান্টিগোন ডেভিস ফেসবুকের ওই কমিটিকে বলেছেন, আমরা গবেষণাটি পরিচালনা করেছি আমাদের প্ল্যাটফর্ম আরো ভালো করার জন্য, খারাপ বিষয়গুলো কমিয়ে নিয়ে আসতে এবং ভালোগুলোকে সর্বোচ্চ পরিমাণে নিয়েযেতে এবং আমরা কোথায় উন্নতি করতে পারি, সেটা সক্রিয়ভাবে চিহ্নিত করতে।

তিনি আরো বলেছেন, আমরা চাই আমাদের প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধুদের এবং পরিবারের সঙ্গে অর্থপূর্ণ মিথস্ক্রিয়ার একটি জায়গা হয়ে উঠুক। মানুষ যদি নিরাপদ বোধ না করে, তাহলে আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো না।
সূত্র: বিবিসি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *