যে কারণে শিশুর মেজাজ খিটখিটে হয়
শিশু হোক আর প্রাপ্তবয়স্ক, সবার জন্যই পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। তবে শিশুরা সব সময়ই একটু নাজুক। তাই তাদের ব্যাপারে চিন্তাও থাকে বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে হিসাবটা অন্যরকম।
সাধারণত একটা শিশুর শরীরের ৭৫ ভাগ পানি থাকে। অবশ্য বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যায়। অর্থাৎ তখন পরিমাণটি দাঁড়ায় ৬০ ভাগে।
অনেক সময় দেখা যায় শিশুরা পানি পান করতে চায় না। সে ক্ষেত্রে দুধ, ডাবের পানি, ফলের রসজাতীয় তরল পানীয় দেয়া যেতে পারে। কেননা আসল উদ্দেশ্য বাচ্চাটির শরীরে তরল পদার্থ প্রবেশ করানো।
পানির অভাবে শিশুদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। পড়াশোনাসহ যেকোনো কাজে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফাটতে শুরু করার পাশাপাশি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খেয়াল রাখা জরুরি, শিশুকে জোর করে যেন পানি পান করানো না হয়। এতে পানির প্রতি অরুচি ধরে যায়।
শিশুরা একসঙ্গে বেশি পানি পান করতে পারে না। তাই সারা দিনে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করাতে হবে। ঘুম থেকে ওঠার পর, ঘুমাতে যাওয়ার আগে, স্কুল থেকে ফেরার পর, বিকেলে খেলতে যাওয়ার আগে ও পরে পানি পান করানোর চেষ্টা করুন। সূত্র: হেলদি চিল্ড্রেন