বাবার আচরণে ‘ক্ষুদ্ধ হয়ে’ শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় প্রতিবেশীর আচরণে ‘ক্ষুদ্ধ হয়ে’ তার শিশু সন্তানকে পানিতে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কৈলাটী ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের কনুড়া গ্রামে নিলুয়া বিল থেকে সালমান নামের ছয় বছর বয়সী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার বিকেল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।
সালমান কলমাকান্দা উপজেলার কনুড়া গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে। এ ঘটনায় একই গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে তানিয়া আক্তারকে (১৮) সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাশাপাশি বাড়ি ও প্রতিবেশী হওয়ায় তানিয়া আক্তারের সঙ্গে মারা যাওয়া সালমানের ফুফু সুমাইয়া (১৫) মেলামেশা করতেন। তানিয়ার চলাফেরা পছন্দ না হওয়ায় তার সঙ্গে মিশতে সুমাইয়াকে নিষেধ করে সালমানের বাবা আয়নাল হক। সম্প্রতি স্থানীয় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সুমাইয়ার পথরোধ করে কাপড় ধরে টানা হেঁচড়ার একপর্যায়ে বোরকা ছিড়ে ফেলে তানিয়া। ভয়ে সুমাইয়া দৌঁড়ে আশ্রয় নেয় পাশের একটি বাড়িতে। এ ঘটনায় সালমানের বাবা তানিয়াদের বাড়িতে গিয়ে তাকে বকাঝকা করা হয়। এরপর বুধবার বিকেল থেকে আয়নালের ছেলে সালমান নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় জেলে খোরশেদ মিয়া লিলুয়ার বিলে মাছ ধরতে জাল ফেললে সালমানের মৃতদেহ উঠে আসে।
কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান বলেন, রাগ ও ক্ষোভে গত বুধবার বিকেলে ধাক্কা মেরে সালমানকে পানিতে ফেলে দেন তানিয়া। শিশুটি সাঁতার না জানায় ডুবে মারা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়া ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। শিশুটির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।