ফোনে আসক্ত শিশু-কিশোররা, বাড়ছে ঝুঁকি

শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে বাড়ছে ঝুঁকি। বিধিনিষেধ আর সচেতনতার অভাবে যেকোনো সাইটে ঢুকছে অপ্রাপ্তবয়স্করা।

স্কুল থেকে ফিরেই স্মার্ট ফোন-ট্যাব অথবা ল্যাপটপে ডুবে থাকছে শিশু-কিশোররা। বয়সসীমার ফাঁক গলে কখনও নিজেই অ্যাকাউন্ট খুলছে। আবার কখনও অভিভাবকের অ্যাকাউন্ট থেকে ঢুকে পড়ছে যেকোনো সাইটে।

ইন্টারনেটে কতটা বুঁদ হয়ে থাকছে শিশুরা তা একটু খেয়াল করলেই চোখে পড়বে। কখনও ইউটিউব, কখনও ফেসবুক, কখনও টিকটক-লাইকিতে মেতে আছে শিশুরা। এমন বাস্তবতাই এখন ঘরে ঘরে। কোভিডের ঘরবন্দি সময়ে শিশুদের নেট আসক্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।

অভিভাবকরা বলছেন, মোবাইল ছাড়া বাচ্চারা খেতে চায় না, ঘুমাতে যেতেও বায়না ধরে, স্কুলে না যাওয়ার ভয়ও দেখায়। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করে বাচ্চারা।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবাধে ভেসে বেড়াচ্ছে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট, সাম্প্রদায়িক উসকানি আর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভুল বার্তা নিয়ে বড় হবে নতুন প্রজন্ম।

ইউনিসেফের গবেষণা বলছে, বাংলাদেশে ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছরের আগেই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বেশির ভাগ সময়ই তারা চ্যাটিং করে কিংবা ভিডিও দেখে। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ গোপনে নেট ব্যবহার করে। যাদের ৩২ ভাগ রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।

বর্তমান বাস্তবতায় প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, শিশুদের যে বয়সের বৈশিষ্ট্য নিয়ে বড় হওয়ার কথা সে বৈশিষ্ট্যের জায়গায় বড় বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে তাদের মনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক কর্ম থেকে অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছে শিশুরা।

শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষকে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ প্রযুক্তিবিদদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *