এপ্রিলে ৪২৪৯ নারী ও ৪৫৬ শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার

চলমান ‘লকডাউনে’ এপ্রিল মাসজুড়ে ২৭টি জেলায় ৪ হাজার ২৪৯ জন নারী এবং ৪৫৬ শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে এক হাজার ৬৭২ জন নারী এবং ৪২৪ জন শিশু আগে কখনো নির্যাতনের শিকার হয়নি। শিশুদের মধ্যে শতকরা ৯২ জন তাদের বাবা-মা ও আত্মীয়দের দ্বারা এই নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

উত্তরদাতা ৪হাজার ২৪৯ শিশুর মধ্যে ৪২৪ জন শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে বাল্যবিয়ে হয়েছে ৩৩ টি এবং অন্যান্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪২ টি। এর মধ্যে ৪জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১৬ জনকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়, অপহৃত হয়েছে ২ জন, যৌন হয়রানির শিকার ১০ জন এবং রিলিফ নেয়ার সময় ১০ শিশু ধর্ষণের শিকার হয় ।

করোনা পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা ও অনান্য সহিংসতা প্রতিরোধ ও সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে ইউকেএইডের সহায়তায় নারী ও শিশুর অধিকার ও নিরাপত্তা (সিকিউরিটি এন্ড রাইটস অব উম্যান এন্ড গার্লস) এবং সুইডিশ সিডার সহায়তায় জেন্ডার ভিত্তিক বৈষম্য প্রতিরোধ (কমবেটিং জেন্ডার বেইসড ভায়োলেন্স ) এবং এমজেএফ কর্তৃক পরিচালিত উক্ত কর্মসূচিদ্বয়ের আওতায় এই তরিৎ জরিপটি সম্পন্ন হয়। এমজেএফএর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, এমজেএফ পুরো মাসে সহিংসতার শিকার২২০২ জন নারী ও শিশুকে কাউন্সিালং, আইনগত সহায়তা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেছে। ২০০০ জন নারী ও শিশুকে ফলোআপ করেছে, যেন সে আবার সহিংসতার শিকার না হয়। সহযোগী সংগঠনের সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ ১৪১টি বাল্যবিবাহ নিরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, লকডাউন পরিস্থিতিতে যে নারী আগে কখনই পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়নি সেও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী লকডাউন পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, চীন, মালয়শিয়া, ভারত, আর্জেন্টিনা এবং তিউনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পারিবারিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেখানে তিনজনে একজন নারী সহিংসতার শিকার হতো, সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন কোন রাষ্টে তিনজনে দুজন নারী সহিংসতার শিকার হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *