আক্রান্ত শুনে পালানো সেই রোগীর স্ত্রীর পর শিশু সন্তানও করোনা ‘পজিটিভ’
করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত শুনেই পালানো বগুড়ার এক ব্যক্তির স্ত্রীর পর এবার ১২ বছরের শিশু সন্তানও আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া জেলা শহরের সেউজগাড়ি এলাকার একজন ব্যাংক কর্মকর্তা করোনা ‘পজিটিভ’ হয়েছেন। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান মঙ্গলবার রাত নয়টায় প্রথম আলোকে বলেন, মেডিকেল কলেজ ল্যাবে সোমবার বগুড়ার ৯১টি, জয়পুরহাটের তিনটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার ওই শিশু এবং একজন ব্যাংক কর্মকর্তার প্রতিবেদন করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়া শিশুটির বাবা মা শহরের ফুলতলা এলাকার বাসিন্দা। দুজনেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স। গত শুক্রবার তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষায় শহরের সেউজগাড়ি এলাকার এক ব্যাংক কর্মকর্তাও করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তাঁর বয়স ৫৮ বছর। তিনি নীলফামারীর সৈয়দপুরের একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় কর্মরত। ওই শাখার ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সেটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ২৮ এপ্রিল তিনি বগুড়ায় ফেরেন। মঙ্গলবার নমুনা সংগ্রহ করার পর তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন।